শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ৩৩ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন ধরনের শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, শৃঙ্খলা উপ-কমিটির সুপারিশের প্রেক্ষিতে ১১ ডিসেম্বর উপাচার্য প্রফেসর সালেহ্ হাসান নকীবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ডিসিপ্লিনারি বোর্ডের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে শাস্তি প্রদানের সুপারিশ করা হয়। ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ৫৩৫তম সভায় ওই সুপারিশকৃত শাস্তি অনুমোদন করা হয়।
অপরাধের মধ্যে রয়েছে- র্যাগিং, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরাসরি হামলা, ষড়যন্ত্র, ইন্ধনমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা, ভয়ভীতি, হলে সিট বাণিজ্য এবং গণরুমের ছাত্রীদেরকে জোরপূর্বক শ্লোগান দিতে বাধ্য করা, হলের কক্ষের তালা ভেঙ্গে কক্ষ দখল, গভীর রাতে ছাত্রীদের ঘুম থেকে উঠিয়ে নিয়ে মিটিং করা, শিক্ষার্থীদের ব্লাকমেইল করা, শিক্ষার্থীদের জিনিস চুরি, দুর্ব্যবহার করা, নেশাদ্রব্য সেবন করা, উচ্চস্বরে গান-বাজনা বাজিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা ও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটানো, রাতে নিজ কক্ষে নিয়ে গিয়ে অমানবিক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো, মোবাইল ফোন-পেন ড্রাইভ ও ব্যক্তিগত জিনিসপত্রে তল্লাশি চালানো, হত্যার হুমকি প্রদান, শিক্ষার্থীদের নিপীড়ন ও অত্যাচার ইত্যাদি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অপরাধের ধরণ ও মাত্রাভেদে ৬ জনকে স্থায়ী বহিষ্কার এবং ছাত্রত্ব না থাকলে সনদ বাতিল, ৫ জনকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার, ৪ জনকে ১ বছরের জন্য বহিষ্কার, ২ জনকে ১ সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার, ১ জনকে এক সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, ১ জনকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং ১৪ জনের আবাসিকতা বাতিল ও ৫ জনের মুচলেকা প্রদানের মাধ্যমে হলে অবস্থানের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। শাস্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ৫ জন শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রমাণিত অপরাধের জন্য শাস্তি প্রদান করা হলেও অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে পুনরায় তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
স্থায়ীভাবে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা ব্যতীত মুচলেকার মাধ্যমে হলে থাকার অনুমতিপ্রাপ্ত ৫ জনসহ শাস্তিপ্রাপ্ত কোনো শিক্ষার্থী ভবিষ্যতে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
খুলনা গেজেট/এইচ